গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ১১:৪৫ সময় বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানাধীন চর আবদানী এলাকায় ভাড়াটিয় বাসায় বসবাসকারী মো: আনিচুর রহমান (৪১), সাং-চরআবদানী, থানা-কাউনিয়া, জেলা-বরিশাল’কে একই এলাকায় বসবাসকারী মো: শরিফুল (৪২) ও তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মৃত: আউয়াল মিয়ার বসতবাড়ীর উঠানে শরিফুল ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে আনিচুরের উপর অতর্কিত আক্রমন করে। এ সময় আনিচুরকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত ও গুরুত্বর জখম করে। মারধর করার একপর্যায়ে আনিচুরের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শরিফুলসহ অন্যান্য আসামীরা আনিচুরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আনিচুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিচুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বুঝতে পেরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। অতঃপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিকটিম আনিচুরকে উল্লেখিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গত ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকায় ভিকটিম আনিচুর উল্লেখিত হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম আনিচুরের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩৬), বাদী হয়ে বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানায় শরিফুলসহ ০২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে শরিফুলসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২১:৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপি ঢাকার লালবাগ থানাধীন শহিদনগর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী মো: শরিফুল ইসলাম ওরফে সুমন (৪২), পিতা-আবুল হোসেন, সাং-চরআবদানী, থানা-কাউনিয়া, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।