রাজধানীর লালবাগ এলাকায় বসবাসকারী মাহবুব আলম (৩২) অটোরিক্সা চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৩১/১২/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টার সময় ভিকটিম মাহবুব থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর গত ০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পিচ্চি মনির গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য আসামী মো: মুরাদ (২৭) সহ তার সঙ্গীয় অপরাপর আসামীরা রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ২৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেএন সাহা রোডস্থ এলাকায় ভিকটিম মাহবুবকে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আসামীদের আক্রমনে ভিকটিম মাহবুব হাতের বাহু, মাথার পিছনে ও পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃতুবরণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহবুবের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহবুবের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহবুবের মা মোছা: আমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় আসামী মুরাদসহ ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে মুরাদসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টার সময় র্যাব-১০ একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক মাহাবুব হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ মুরাদ (২৭), পিতা-মো: সিকদার, সাং-শহীদনগর, থানা-লালবাগ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।