নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাসকারী উযান মিয়া (৪২) ভাড়ায় অটোরিক্সা চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ইং বিকাল আনুমানিক ৪:টা সময় উযান মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় গ্যারেজ থেকে ভাড়াকৃত অটোরিক্সা নিয়ে যাত্রী বহন করার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরদিন গত ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং সকাল আনুমানিক ০৮: টা সময় উক্ত গ্যারেজ মালিক মন্ডল মিয়া (৪০) উযান মিয়ার বড় ভাই সুজা মিয়া (৪৪)কে ফোন করে জানায় যে, উযান মিয়া গতকাল ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ইং বিকালে রিক্সা নিয়ে বের হয়ে এখনো গ্যারেজে আসেনি এবং তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে উযান মিয়ার বড় ভাই সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায় গত ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ০৫:৩০ মি: সময় জানতে পারে যে, ডেমরা থানা পুলিশ ডেমরা থানাধীন বামৈল ডিএনডি খাল (ঢাকা ওয়াসা ক্যানেল) থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পরবর্তীতে উযান মিয়ার বড় ভাই সুজা মিয়া উক্ত হাসপাতালে গিয়ে অজ্ঞাত লাশটি দেখে এটি তার নিখোজ ছোট ভাই অটোরিক্সা চালক উযান মিয়া বলে শনাক্ত করে। উক্ত ঘটনায় মৃত উযান মিয়ার বড় ভাই সুজা মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর ডেমরা থানায় অটোরিক্সা চালক উযান মিয়কে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ১০-১১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অটোরিক্সা চালক উযান মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৮ ফেব্রয়ারি ২০২৫ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১১:১০ মি: সময় র‌্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন বাদল মিয়ার গলি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত অটোরিক্সা চালক উযান মিয়া হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ আকাশ ভূইয়া (২৮), পিতা-মৃত আনোয়ার ভূইয়া, সাং-রামচন্ডী, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।