রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাসকারী মো: মাহাবুব দিনমজুরি করে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৩০শে আকষ্ট ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৮: টার সময় ভিকটিম মাহাবুব কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর মাহাবুব তার এক বন্ধুর সাথে কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর হাই স্কুলের সামনে একটি বাসায় যায়। একই সময়ে উক্ত ঘটনাস্থলে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা আসামী মোঃ ইসকেন্দার (৩২), পিতা- মোঃ ইউসুফ আলী, সাং- জুরাইন মুরাদপুর, থানা-কদমতলীসহ অপরাপর আসামীরা পূর্ব শত্রতার জের ধরে অতর্কিতভাবে চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু ও কিরিচ দিয়ে ভিকটিম মাহাবুবকে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এরপর জিতুসহ অপর আসামীরা গুম করার উদ্দেশ্যে মাহাবুবকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কদমতলী থানাধীন পাটেরবাগ এলাকায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহাবুবের পরিবার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে গিয়ে মাহাবুবের রক্তাক্ত গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহাবুবের ভাই মোঃ ফজর আলী বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় ইসকেন্দারসহ ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে ইসকেন্দারসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং দুপুর আনুমানিক ১:৩০ মি:তে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুর বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর দিনমজুর মাহাবুব হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ ইসকেন্দার (৩২), পিতা- মোঃ ইউসুফ আলী, সাং- জুরাইন মুরাদপুর, থানা- কদমতলী’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।