1. news@thedailyajkerkhabar.live : দৈনিক আজকের খবর : দৈনিক আজকের খবর
  2. info@www.thedailyajkerkhabar.live : দৈনিক আজকের খবর :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জাতীয় পর্যায়ে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় দিরাইয়ের শিশু শিক্ষার্থী সোহম দাস দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় সংবর্ধনা প্রদান বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর বিদ্যুৎ হত্যা মা’মলার প্রধান আ’সা’মি বাবা-ছেলে গ্রেফতার জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা অনুষ্ঠিত বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুন্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ বাউফলে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার “অবৈধ জাল জব্দ” নাগরপুরে সরকারি বইসহ ট্রাক জব্দ, প্রধান শিক্ষক পলাতক বরিশালে বিএনপি তিন নেতার কবলে ছাত্রদল কর্মী ও তার পরিবার গোবিন্দগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ কৃত টাকা আত্নসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন রূপগঞ্জে গাড়ি চালকদের অসুস্থতার কারণে প্রতিযোগিতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের বাস্তব প্রতিফলন

বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুন্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ

দৈনিক আজকের খবর
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অর্ন্তবর্তী কালিন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে জন-আকাঙ্খা সমন্বয় করার প্রচেষ্টা হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘বাজেটের আকার কমলেও গুনগত খুব বেশী পরিবর্তন নাই। উচ্চ আকাঙ্খা বা লুটপাটের উন্নয়নে বরাদ্দ হ্রাস করায় জনগনের উপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে। ’তারা বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারের বাজেটও বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটাতে পারে নাই। বাজেটের আকার আরো ছোট হলে বাস্তবায়ন করা সহজ হতো। প্রকৃতপক্ষে বাজটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুন্ন রয়েছে।’সোমবার (২ জুন) অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গত ১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ জনগন। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কঠিন সঙ্কটে ছিলো বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল বাজেটই ছিল কল্পনার ফানুষ মাত্র।’তারা বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা, চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ জনগনের উপর চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। তবে, ফ্রিজ, এসির উপর ভ্যাট বৃদ্ধি করায় অনেকটাই সদস্যা সৃষ্টি করবে। বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব ও বয়স্ক, বিধবা ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহগনযোগ্য। তবে, দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মধ্যেবিত্তসহ সাধারণ মানুষের গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।’নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুব বেশী কমছে না। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে যা জিডিপির ৩.৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশী ঋণ ও সুদের বোঝা আরো বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। তবে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬.৫০ শতাংশ রাখতে পারলে তা হবে বাজেটের বড় চমক।’তারা আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ফ্যাসীবাদী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব, মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও ন্যায়নীতির নির্বাসন এবং সর্বগ্রাসী লুটপাটের কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরো ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© দৈনিক আজকের খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট